টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা যেহেতু বিভিন্ন দেশে উঠে এসেছে, সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা নতুন কোনো বিকল্প অ্যাপ খুঁজছেন। টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে এমন সম্ভাবনার মধ্যে জনপ্রিয় কিছু বিকল্প অ্যাপ যেমন:
Instagram Reels - টিকটকের মতোই শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যা ইনস্টাগ্রামে সংযুক্ত থাকে। এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং ইউজাররা এখানে ছোট ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করতে পারেন।
YouTube Shorts - ইউটিউবের একটি নতুন ফিচার যা টিকটকের মতো শর্ট ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করার সুযোগ দেয়।
Triller - এই অ্যাপটিও টিকটকের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা ছোট ভিডিও তৈরি এবং সম্পাদনা করতে পারে।
Snapchat - যদিও এটি মূলত ফটো শেয়ারিং অ্যাপ, তবে এর "Spotlight" ফিচারের মাধ্যমে শর্ট ভিডিও শেয়ার করা যায় এবং এটি একটি জনপ্রিয় বিকল্প হতে পারে।
Dubsmash - টিকটকের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী, যেটি ছোট ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করতে দেয়। এটি এখনও অনেকের মধ্যে জনপ্রিয়।
এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা টিকটকের অভিজ্ঞতা বজায় রাখতে পারবেন, যদিও প্রতিটি অ্যাপের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও ফিচার রয়েছে।
হ্যাঁ, টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন দেশে আলোচিত হচ্ছে। এর পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে:
ডাটা নিরাপত্তা: টিকটক নিয়ে অভিযোগ আছে যে, চীনা কোম্পানি Bytedance দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় ব্যবহারকারীদের ডেটা চীনা সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারে। বিশেষ করে, পশ্চিমা দেশগুলোতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ রয়েছে, যা নিয়ে অনেক দেশ টিকটক নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।
গোপনীয়তা: টিকটক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, বিশেষ করে শিশুদের ডেটা নিয়ে।
রাজনৈতিক কারণ: কিছু দেশে টিকটককে রাজনৈতিক মতবাদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন অভিযোগে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত, বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া টিকটক নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে, এসব নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধতার পরেও টিকটক বিশ্বব্যাপী এক ধরনের বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
এর ফলস্বরূপ, টিকটক পরিবর্তিত নীতিমালা গ্রহণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা 강화, এবং আইনগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।